শওকত হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শাফায়েত তালুকদার (৩০) নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এ ঘটনার নেতৃত্বদানকারি থানার এ,এস,আই পিন্টু চন্দ্রের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮মে) বিকেল দিকে জিউধরা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা, মাতা, বিধাব স্ত্রী ও দুই বোনসহ শতশত নারী পুরুষ, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধনে নিহত শাফায়েত তালুকদারের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘থানার এ,এস,আই পিন্টু চন্দ্র পূর্ব শত্রুতার কারনে পরিকল্পিতভাবে আর ও কয়েকজন পুলিশ সদসস্যের সহযোগীতায় শাফায়েতকে নির্দয়ভাবে পিটয়ে হত্যা করেছে। শাফায়েতের শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকাও দিয়েছে। অথচ শাফায়েতের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ তাদের কাছে নেই’। অথচ নিরাপরাধ শাফায়েতকে কেনো পিটিয়ে মারা হয়েছে এমন প্রশ্ন পরিবারের স্বজনদের। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
নির্মম নিযার্তন করে ঘটনাস্থলে শাফায়েত মারা যায়। পরে লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে এ, এস,আই পিন্টু ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেয় বলেও নিহতের পিতা ফারুক হোসেন তালুকদার উল্লেখ করেন। এ সময় এ, এস,আই পিন্টুর ফাঁসির দাবি করেন তিনি। মানববন্ধনে শেষে নিহত শাফায়েতের মা সাফিয়া বেগম, স্ত্রী রোজি বেগম, বোন মারজিয়া, স্কুল শিক্ষক চাচা শাহজাহান হাওলাদার ও হিরা আক্তারসহ সকলে এ, এস আই পিন্টুর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জিউধরা গ্রামে একজন ওয়ারেন্টি আসামীকে আটকের জন্য এ,এস আই পিন্টুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই অভিযানে জিউধরা গ্রামের ফারুক হোসেন তালুকদারের ছেলে শাফায়েত আটক হবার পরে পুলিশের মারপিটে মারা যায় ও গুরুতর আহত অবস্থায়, আরো তিন জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(২৫০শয্য) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে এ, এস আই পিন্টুকে মোরেলগঞ্জ থানার আর দেখা যায়নি। তাকে শাস্তিমূলক বদলীর আদেশে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবং নিহত শাফায়েতের পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ মহদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন মোঃ মহিদুর রহমান কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক: আবু সাইদ মোহাম্মদ আখতার হোসেন খান
০১৭২৬-৭৬৩০৩২(সম্পাদক), ০১৭৯২-০৫৯৪৪৬(ব্যবস্থাপনা পরিচালক), ০১৯৩৮-৪৩৬৫২৬(নির্বাহী সম্পাদক)
Copyright © 2025 গাঙচিল নিউজ. All rights reserved.